মোঃ নোমান সরকার
এক বনে এক বাঘ ছিল। সে ছিল বনেরর রাজা। রাজা ছিল খুবই শান্ত স্বভাবের। বলতে গেলে তার কোন রাগ ছিলনা। তাই বনের সব পশুরা তাকে একজন ভাল বনের রাজা হিসাবে জানত। কারনে অকারনে সবাই রাজার কাছে আসত, গল্প করে যেত। প
একদিন অন্য বন থেকে আরেকটি বাঘ এই বনে এল। এসে তো প্রচন্ড অবাক ! এই বনের কেউ তাকে দেখে ভয় পাচ্ছে না! একদমই না ! অদ্ভুদ ব্যাপার তো! যেদিকে যায়, যে প্রানীর সাথে দেখা হয় যেন কেউ তাকে দেখেইনি ! এত বড় সাহস ! সে প্রচন্ড রেগে গেল। রেগে হুংকার দিল। সেই শব্দে সবাই চমকে গেল ! ভড়কে গেল! ছুটে পালাল। তাই দেখে বাঘটা মনে মনে হেসেই খুন।
অন্য বনের বাঘের চিৎকারে বনের রাজা তাকে দৌড়ে এসে দেখতে এল । দেখতে এসে মুখমুখি হতেই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ! তারপর চারপাশে হেঁটে বেড়াল । তখন সেই অন্য বনের বাঘ বিরক্ত আর রাগী গলায় বলল,’তুমি এই বনের কে হে ? বিড়াল নাকি ?’
বনের রাজা তখন বাঘটার দিকে কঠিন দৃষ্টিতে তাকাল । তারপর হুংকার দিল । যেন মেঘ গর্জে উঠল । সেই শব্দে অন্য বনের বাঘটা ভয়ে , ‘বাবরে!’ বলে দৌড়ে ছুটে পালাল ।
রাজার চেনা হুংকারে সবাই ছুটে এল । এসে তারা সেই বাঘটাকে পালিয়ে যেতে দেখল। সবাই তখন এসে রাজার গায়ের সাথে গা ঘেষতে লাগল। আর আনন্দ করতে লাগল। করতেই লাগল !
(২০১১ সালের লেখা গল্পটা আমি বলেছিলাম তাসিনকে। সে আমার ছোট ভায়ের ছেল, যার বয়স তখন ছিল তিন। সে প্রাই এসে বলত , ‘চাচ্চু একতা গল্প বলতো?’ আমি হাসতে হাসতে বলি ,কি ধরনের গল্প বলব,কার গল্প বলব ?’ ও আগ্রহ নিয়ে লাফাতে লাফাতে বলেছিল , ‘বাঘের !’