মোঃ নোমান সরকার
[১]
গাছগুলো অঝোরে কাঁদছে। প্রায় বিশ পঁচিশটা গাছ একসাথে কাঁদছে। যেন বৃষ্টি হচ্ছে। রাজকুমারী খাদিজা হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে অনেকখন ধরেই। গাছগুলো কাঁদতে পারে এমনটা কেবল না, ওরা কথাও বলতে পারে। কি অদ্ভূর ব্যাপারটা!
কান্না জড়িত গলায় একটা গাছ বলল, ‘তুমি রাজকুমারী, আমরা তা জানি। তুমি কি আমাদের হয়ে রাজার কাছে নালিশ করবে না? আমাদের খুব কষ্ট। দুষ্ট লোকগুলো প্রতিদিন শতশত গাছ কেটে ফেলছে। পাখিরা ঘর হারাচ্ছে। ঘর হারাচ্ছে অসংখ্য ছোট বড় প্রাণী।’
রাজকুমারী খাদিজা নিচু গলায় বলল, ‘আমি এ নিয়ে কথা বলব বাবার সাথে। কেউ গাছ কাটবে না আর। কিন্তু তোমরা কথা বলতে পার,এটি আমাকে অবাক করছে!’
আরেকটা গাছ বলল, আমরা প্রায় সব গাছই কথা বলতে পারি। আর আমাদের গাছদের একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ আছে গোটা পৃথিবীতেই। তবে খুব অল্প মানুষ আমাদের কথা শুনতে পায়, শুনতে পারে। খুব অল্প মানুষের সাথে আমাদের যোগাযোগ। পৃথিবীতে তারাও ছড়িয়ে আছে। তাদের ভিতরও আমাদের মতন নিজেদের ভিতর যোগাযোগ আছে।’
রাজকুমারী খাদিজা চঞ্চল গলায় বলল, আমার সাথে কারো কোন যোগাযোগ নেই তো।
গাছটা বলল, সময় হলেই হবে।
[২]
রাজকুমারী খাদিজা প্রাসাদে ফিরে এলো।
[চলবে]