তামজিদ হাসান
আমি তামজিদ হাসান। ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আমার বয়স ১০ বছর। আমার ছোটবলার কিছু কথা মনে পড়ে। আমি গত বছর আগে ২টি রোজা রেখেছিলাম। আর রোজায় ভিন্ন স্বাদের খাবারগুলো আমার খুব ভাল লেগেছিল। এটি মনে হলে আমার অদ্ভুত লাগে।
মনে পড়ে, নানার বাড়ির স্মৃতি। ওখানে মাঠে অনেক গরু বিচরণ করে। ছাগল ছিল বেশ কিছু। তারা আপন মনে ঘাস খাচ্ছিল। আমি কাছেই বসেছিলাম। ভয় লাগছিল। কিন্তু দূরে যাইনি। মাঠের কাছে আছে একটা ছোট পুকুর। সাঁতার জানি না বলে কেউ নামতেই দেয় না সেখানে। কবে সাঁতার শিখব তা নিয়ে ভাবি। পুকুরের সাথে একটা দোকান যেখান থেকে নানা মজার মজার খাবর কিনে দিত। একবার গাছে উঠেছিলাম। ছোট গাছ। তবে বড় গাছে উঠিনি, ভয় করছিল। গ্রামে অনেক কিছু দেখেছি যা এই শহরে আমি কখনো দেখিনি। যে মজা গ্রামে আছে আসলে তা শহরে নেই। শহরে কেবল পড় পড় আর পড়। বেড়ানর জায়গা নেই।
আমাকে ছোট বেলায় সবাই কোলে নিতে চাইত। যখন আমি কান্না করতাম। তখন কেউ বুঝতে পারত না আমার খিদে লেগেছে। এখন আমি বুঝি এত কাঁদাতাম খিদের জন্য। এখনো খিদে লাগলে কান্নাই পায়। আমার খেতে দারুণ লাগে। আর কিছু মনে নেই। মনে পড়লে আবার বলব।
আমার কম্পিউটার গেইম খেলতে খুব ভাল লাগে। অনেক ছোটবেলা থেকেই আমি গেইম খেলতাম। একদিন আমি নিজে অনেক গেইম বানাব। হব ইউটিউবারও।
দাদা নেই। দাদীর সাথে আমাদের সময়টা ভালো কাটে। অনেক স্মৃতি দাদীর সাথে। ছোটবেলায় কেবল মনে হত, দাদা একদিন ঠিকই আসবে। এখনো মনে হয়। আচ্ছা আসলে কি আসবে না? মরে গেলে কেউ কেন ফিরে আসে না?
ছোটবেলায় বিছানায় লাফাতে খুবই ভালো লাগত। এখনও লাগে। কিন্তু এখন সবাই মানা করে। বলে, বড় হয়েছ না। আমি কি খুব বড় হয়েছি, ভাবি এগুলো নিয়ে।