মোঃ নোমান সরকার
তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ হল আমার পালনকর্তার আদেশ । এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। (১৭: ৮৫)
মৃত্যু হবেই। এটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তাই আমরা কেউ জানি না কোথায়, কখন কবে আমার মৃত্যু হবে। তবে আমরা জানি আগুনে হাত দিলে আমার হাত বা দেহ পুড়ে যেতে পারে। খুব উঁচু থেকে লাফিয়ে নীচে নামতে চাইলে হাত পা ভেঙ্গে যাবে। এটাই বাস্তবতা। তেমনি যেখানে সরকার সহ সাড়া দুনিয়া সবাই বলে যাচ্ছে খুব সাবধানে থাকতে, ঘরে থেকে বের না হতে, সেখানে বের হওয়া আর আগুনে হাত দেওয়া একই বিষয়। তাই প্রত্যেককে এই বিষয়টি নিয়ে আরো ভাবতে হবে।
করোনা ভাইরাসের বিপদটা ঘরে বাইরে। তাই ঘরের ভিতর থাকাটাই এখন নিরাপদ। তবে কিছু মানুষকে দায়িত্বের কারনে বা বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যেতে হচ্ছে। যেমন ডাক্তার থেকে শুরু করে অনেক পেশাজীবী মানুষকে বা পরিবারের প্রধানকে পরিবারের খুব বেশি প্রয়োজনে বের হতেই হচ্ছে। তাদের অনেক অনেক অনেক বেশি সচেতন হয়ে বের হতে হবে। আর পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে তিনি গ্লাবস, মাক্সটা নিয়েছেন কিনা। সবার প্রতি সবার মায়া বাড়াতে হবে, আদর বাড়াতে হবে। আমরা কেউ কাউকে হারাতে চাই না। তাই আরো সাবধানী হতে হবে এবং সবাস্থ বিধি মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বের হওয়া মানে নিজের জীবনের ঝুঁকি কেবল না, ঘরে ফির আসা মানে পরিবারের অন্যদের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া। তাই খুবই সাবধান।. আমরা দেখতে পাচ্ছি রমনা পার্ক থেকে শুরু করে নানান জায়গায় মানুষ বের হচ্ছে। কিন্তু এভাবে এতদিন ঘরে থাকাটা মানে ক্লান্ত লাগা বা বিরক্ত লাগা থেকে শুরু হতে পারে ভয়বাহ বিপদ বা আপনার দ্বারাই পরিবার লাশের পর লাশ হয়ে যেতে বাধ্য করতেই পারে। সাবধানের বিকল্প নেই। চলুন, নিজেকে নিয়মের ভিতর বেঁধে ফেলি। যেহেতু আমরা জানি না, কোথায়, কখন কবে আমার মৃত্যু হবে। তাই যেদিকে মৃত্যু ভয় আছে বা পরিবারের মৃত্যু ঝুঁকি আছে , সেই সব কাজ বা বিষয় থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকি।
দয়া করে, নিজেকে নিজেই জেলে রাখুন বা ঘর বন্দী করে রাখুন। এই সময় শিশু ,কিশোরদের সাথে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিন। তাদের কোরআন হাদিস, ইতিহাস থেকে শুরু করে নানান বিষয় নিয়ে গল্প করুন। এতে তাদের নৈতিকতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় তাদের সমৃদ্ধ করবে। ঘরের ভিতর ব্যায়ম করতে পারি। আর শিশু কিশোরদের ব্যায়ামের শিক্ষা দিতে পারি। খুব খেয়াল করে দেখবেন, শিশুরা ঘরের ভিতর ব্যায়াম করা তো দূরে থাক তারা ঘরের ভিতর নানান খেলাও খেলে না। আজকের দুনিয়ায় যেখানে খেলাত মাঠ নেই সেখানে ঘরের ভিতর ব্যায়মের অভ্যাস খুবই জরুরী তাদের জন্য। আমরা রাদের এই বিষয়গুলো শিখাতে পারি।
আর বাসায় আছি তাই বিদ্যুৎ খরচে আমাদের সাবধানী হতে হবে সেই শিক্ষা শিশু, কিশোরদের বুঝাতে হবে। পানি খরচেও সাবধানী হতে হবে। বলা যায় না, সামনে কি দিন আসতে পারে। আর অযথা লাইট, ফ্যান অন রেখে বিদ্যুৎ আর পানি খরচ করলে এতে পরিবারের আর দেশের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টা শিশু কিশোরদের সাথে আলোচনা করতে হবে। ঢাকনা আছে এমন বালতিতে এক বালতি পানি জমিয়ে রাখার বিষয়টি শিখাতে হবে। কেউ জানে না কাল কি হবে। কিন্তু আমাদের শিখতে হবে কিভাবে কম খরচে টিকে থাকতে হয়। এটা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অযথা ভয় পাওয়া থেকে দূরে থেকে বুদ্ধির সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশলটাই আমাদের শিশু, কিশোরদের শিখাতে হবে।তাদের সাহস দিতে হবে। প্রবল ঝড় বৃষ্টির দিনে যেমন আমরা ঘর ছেড়ে বের হতে পারি না, এই দিনগুলো তেমনি। এভাবে তাদের বুঝাতে হবে এবং নিজেকে বুঝাতে হবে।