রাজা
মোঃ নোমান সরকার
বহুদিন আগের কথা । আমাদের দেশে এক রাজা ছিল । সবাই তাকে আনন্দের রাজা নামে ডাকত । রাজা যেমন ছিল রসিক তেমনি পেটুক । রাজা যেমন উচু লম্বা তেমনি ছিল তার ভুঁড়ি । সারাদিনই বলতে গেল খেত । রাজ দরবারে ,রাজপ্রাসাদে একটু পরপর এক খাচি ফল রাখা আছে । আরও রাখা আছে যত্রত্ত্র খাবার । রাজা হাঁটেন ,ভাবেন আর খান ।
একদিন মধ্যরাতে রাজার ঘুম ভেঙ্গে গেল । তিনি অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখলেন । তিনি স্বপ্ন দেখেলেন , তিনি বিশাল একটা মিষ্টি খাচ্ছেন । মিষ্টি টা প্রায় তার সমান ! তিনি তার সমান বড় মিষ্টি টা অতান্ত আয়েশ করে খাচ্ছেন ! ঠিক তখনই ঘুমটা ভাঙ্গল । ঘুম ভেঙ্গে টের পেলেন খুব খিধে লেগেছে । তিনি রানীর ঘুম ভাঙ্গাবেন কিনা তা নিয়ে ভাবতে লাগলেন । কিন্তু খুব খিদেও লেগেছে । একটু ভেবে , তিনি খুব নরম আর নীচু গলায় রানীকে ডাকলেন ।
রাজার নরম গলার ডাকে রানীর ঘুম ভাঙ্গল । রানী চিন্তিত গলায় বলে উঠল , ‘রাজা আপনার কি হয়েছে ‘? রাজা হেসে ফেলে রানীকে সহজ করল । বলল, ‘রানী খিধে পেয়েছে ‘। রানী বলল, ‘ কি খেতে ইচ্ছে করছে ‘ ? রাজা জিনজির একটু ভাবল । তারপর বলল , ‘ মিষ্টি ‘! একটু থেমে বলল , ‘ সাথে পায়েস ‘। রানী বলল, ‘ রাজা খুব একটা সময় নিবে না ‘ । রানী উঠতে যাবে । রাজা তাকে বসাল । স্বপ্নের কথা জানাল । রানী এত বড় মিষ্টির গল্প শুনে খিল খিল করে হেসে উঠল । সেই হাসিতে রাজার মন অনেক আনন্দে ভরে উঠল ।
রানী হাই তুলতে তুলতে স্বর্ণের অতি কারুকাজ করা পালঙ্ক থেকে নামল । তারপর অনেকটা হেটে ঘরের বিশাল বড় জানালার কাছে এসে দাঁড়াল । আহ ! কি চমৎকার তারা ভরা রাতের আকাশ ! কয়েক মুহূর্ত আকাশটার দিকে তাকিয়ে রানী বুক ভরে শ্বাস টেনে নেয় । তারপর ধীর পায়ে ঘরের পূর্ব দিকটায় ছোট্ট একটা জানালার ধারে এসে দাঁড়াল । জানালার কাছে আছে প্রকাণ্ড তিনটা মোমবাতি । রানী তিনটা মোমবাতিতে আগুন ধরাল । তারপর কয়েক মুহূর্ত পরে বহু দূরে এক এক করে তিনটা মশালের আলো জ্বলে উঠতে �