Home শিশুতোষ গল্প ব্যাঙকুমারী

ব্যাঙকুমারী

by Admin

(শিশুতোষ গল্প)

মোঃ নোমান সরকার

পুকুর দেখতেই রাজা ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে পরলো। সৈন্যদের থেকে অনেক  দূরে চলে এসেছে। যুদ্ধে জয় লাভ করতে খুবই কষ্ট হয়েছে এবার। রাজা পুকুর ধারে এসে দুই পা ভাঁজ করে বসলো।    

আহ! কি টলটলে পরিস্কার পানি!পানি দেখেই সে হেসে উঠলো। সে দ্রুত পানি স্পর্শ করলো।  তারা সাড়া শরীর ঠান্ডা আর শান্ত হয়ে গেল। আনন্দে তার চোখ বন্ধ হয়ে এলো। শরীরের সমস্ত ক্লান্তি যেন কমে যাচ্ছে। রাজা তরবারিটা পাশে রেখে পুকুর থেকে দু হাতে পানি নিয়ে মুখমণ্ডলে দিল।  আনন্দে তিনি বারবার ‘আহ! আহ!’ বলে উঠল। তারপর তরবারিটা পরিস্কারের জন্য পুকুর থেকে পানি হাতে নিল। ঠিক তখনই কেউ একজন কথা বলে উঠল,’আমাকে মেরো না ।’

রাজা অবাক বিস্ময়ে চারদিকে তাকালো। কোথাও কেউ নেই! বেশ একটু দূরে বিশাল পাহাড়। পাশে তৃণ ভূমি। আর মাথার উপর ঝকঝকে শেষ দুপুরের আকাশ। তিনি আবার তরবারিটা হাতে উঠালেন, একই ব্যাপার হলো। কেউ একজন চিৎকার করে বলল,’আমাকে মেরো না।’

রাজা চমকে উঠল। কোথাও কেউ নেই! রাজা চারটিয়েখুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। একটু বাদে রাজার চোখ আটকে গেল যেন। পিকিরের ধারে তার খুব কাছে একটা ব্যাঙ বসে, সে কথা বলে উঠছে বারবার! কিন্তু সেটা কি করে সম্ভব! এ যে অবিশ্বাস!

 ব্যাঙ বলল,’আমি ব্যাঙকুমারী। আমাকে মের না,আমার প্রতি সহজ হও।‘ 

রাজা অবাক ,বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে ! এ ও কি সম্ভব! একটা ব্যাঙ কি করে কথা বলে! কোথাও কি ভুল হচ্ছে? সে অনেক খন ধরে টার দিকে তাকিয়ে থাকল।

তৃতীয়বার
ব্যাঙ বলে উঠল,’ আমি ব্যাঙকুমারী। আমাকে মের না,আমার প্রতি সহজ হও।‘ 

রাজা আরো কিছুক্ষণ চুপ থেকে নরম গলায় বলল, ‘মারব না,ভয় পেও না। আমি রাজা,কথা দিচ্ছি।‘

 ব্যাঙকুমারী শান্ত হল। রাজার কথায় ভরসা পেয়েছে যেন।    

ব্যাঙকুমারী বলল,’আমি পানির নীচের দেশের রাজকুমারী। এখান থেকে অনেক দূরে একটা নদী আছে। সেই নদীর নীচে আমাদের দেশ।

রাজা বলল, ‘নদীর নীচে! নাদীর নীচে! নদীর নীচে! নাদীর নীচে? ‘

ব্যাঙ বলল,‘নদীর তলায় যে মাটি, তার থেকে অনেক অনেক নীচে আমাদের দেশ।‘   

রাজা অবাক বিস্ময়ে বলল, ‘আচ্ছা!’

‘আমি আপনার মতন একজন মানুষ। যাদুকর আমাকে ব্যাঙ বানিয়ে রেখেছে।‘  

রাজা যেন নিজে নিজেই বলল, যাদুকর! আচ্ছা যাদুকর তোমাকে ব্যাঙ বানিয়ে দিলো। আচ্ছা?’

 রাজা যেন একবারেই বোকাই হয়ে গেল! সে এসব কি শুনছে ? এমন কি কখনও হতে পারে! নাকি অসুস্থ হয়ে গেল সে! যুদ্ধ করতে করতে আতিরিক্ত ক্লান্তি থেকেও হতে পারে ব্যপারটা।   

অনেকখন পর রাজা বুঝল,সে অসুস্থ না। যা সে দেখতে আর শুনতে পারছে, সব সত্যি! কিন্তু পুরো ঘটনাটাই বড় বেশী বিস্ময়কর! রাজা বারবার মাথা আর গাল চুলকাতে লাগল। কখনও এদিক সেদিক তাকাতে লাগল। রাজা ভ্রু কুচকে জানতে চাইল,’পানির নীচে দেশ আছে! মানুষ আছে! মানুষ! মানুষ থাকে! মানুষ পানির নীচে থাকে!’

 ব্যাঙকুমারী বলল,’নদীর একেবারে নীচে আছে যে মাটি তারও অনেক অনেক নীচে আছে অনেক অনেক দেশ। সেখানে মানুষ ছাড়া অন্য যে প্রানী আছে তা এখানকার মতন না। একেবারে ভিন্ন। তবে তোমাদের মতন নিষ্ঠুর কোন মানুষ বা প্রাণী নেই। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ কাউকে কষ্ট দেয় না, আঘাত করে না, হত্যা করে না। গত কয়েক দিন আগে তো একদল ছেলে আমাকে পেয়ে পাথর ছুড়ে মেরেই ফেলেছিল। ভাগ্য ভালো ঘটনা সন্ধ্যায় বলে আমি লুকিয়ে পালিয়ে যেতে পেরেছিলাম। আমি যাদুকরকে যেমন ভয় পাই। মানুষ দেখলেও।‘

একটু থামল ব্যাঙকুমারী। তারপর আবার বলল,’ এ ছাড়া অনেক অনেক মিল আছে আপনাদের সাথে আমাদের। কিন্তু কেউ সেখানে নিষ্ঠুর নয় বলতে গেলে, যাদুকরের মতন অল্প কিছু দুষ্ট ছাড়া। ‘

রাজা আবার বলল, পানির নীচে দেশ! নদীর পানি নীচে দেশ, মানুষ, প্রাণী!

  ব্যাঙকুমারী বলল, নদীর পানি ঘোলা বলে পানির নীচে কিছু থাকতে পারে, এ নিয়ে আপনারা বিশ্বাস করেন না। আমি আপনার আগে আরো একজন মানুষের সাথে কথা বলেছিলাম। সে এই কথা আমাকে বলছিল। ‘

রাজা বলল, হ্যা তা হতে পারে। নদীর পানি ঘোলা। তাই তার একেবারে নীচে বা তারও নিচে কিছু থাকতে পারে, এটা আমিও সারা জীবনে ভাবিনি।’

ব্যাঙকুমারী বলল, কিছু কেন বলছেন। নদীর নীচে একের পর এক দেশ আছে, সেখানে মানুষ থাকে।

রাজা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল ব্যাঙকুমারীর দিকে। কি চমৎকার কণ্ঠ এই ব্যাঙকুমারী! সত্যি কি সে মানুষ! সত্যি কি সে রাজকুমারী!

রাজা ব্যাঙেকুমারীর কথাটা নিজে নিজে বলল, ‘ সেখানে মানুষ ছাড়া অন্য যা প্রানী আছে তা এখানকার মতন না। একেবারে ভিন্ন। হুমমম !’ 

 রাজা মাথা চুলকাল। চিন্তিত গলায় বলল,‘তা তুমি কি করে এলে এখানে? বলে রাজা গভীর মনোযোগ দিয়ে ব্যাঙকুমারীকে দেখতে লাগল।

রাজার এ কথায় ব্যাঙকুমারী বলল,’ একটা ভূমিকম্প হয়েছিল। তারপর দেখি আমি এখানে। আমার সাথে আমাদের অনেকে মানুষ বেঁচে ছিল কিন্তু যাদুকর সবাই কে মেরে  ফেলেছে। মেরে ফেলেছে তোমাদের সেই মানুষটাকে যার সাথে আমার কথা হচ্ছিল। সে বিশ্বাসই করতে পারছিল না আমাদের।‘

রাজা বলল অশান্ত গলায় প্রশ্ন করল, ‘কেন?কেন যাদুকর মারলো কেন? কোন যাদুকর, কোথাকার যাদুকর?’

ব্যাঙকুমারী,খুবই হতাশ গলায় বলল, ‘ যাদুকর আমাদের দেশের। তবে দেশে এত ক্আষতি করার ক্মিষমতা তার ছিল না। কিন্তু এখানে এসে তার অনেক ক্ষমতা হয়ে গেছে। জানি না কেন সে আমাদের মারতে চায়! সে কি চায়! তাকে দেখেছি কেবল। সে আমাকে খুঁজছে! একদিন সকালে আমাকে দেখতেই ধরার চেষ্টা করতে লাগল। অবশেষ ধরতে না পেরে সে আমাকে ব্যাঙ বানিয়ে ফেললো।‘ তারপর  আবার থেমে উত্তেজিত গলায় বলল ,’সে আমাকে ঠিকই আমাকে খুঁজে বের করবে।‘

রাজা চারদিকে ভালো করে তাকাল। তার খনে খনে মনে হতে লাগল, গোটা ঘটনাটা ঘটছে ঘুমের ভিতর স্বপ্নে। তারপর পরই মনে হলো না স্বপ্ন না।

রাজা বলল, ‘এখানে থাকাটা তবে নিরাপদ হবে না। যাবে তুমি আমার সাথে?’

ব্যাঙকুমারী লাফিয়ে বলল,’কোথায়?’

 রাজা বলল,’আমার দেশে, আমার প্রাসাদে?’

রাজার কথা শুনে ব্যাঙকুমারী কি যেন ভাবল। তারপর বলল,’আমি তোমার কাছে ব্যাঙ হিসাবেই থাকতে চাই। আমি কথা শুধু্ তোমার সাথেই বলতে চাই।‘

 রাজা বলল ,’ঠিক আছে তোমার পরিচয় কেউ জানবে না।‘

রাজা দেশে ফিরল ঠিকই কিন্তু আগের মতন রাজদরবারে যায়না। রাজ প্রাসাদেই সময় কাটায়। সবাই হতবাক! তবে এটা জানাজানি হয়ে গেল যে, রাজা ফিরেছেন একটা মস্ত বড় ব্যাঙ নিয়ে! ব্যাঙ কেন শোবার ঘরে থাকবে? এ ধরনের অনেক অনেক প্রশ্ন চারদিকে ছড়িয়ে গেল।

রাজা তার ঘরের এক কোনে কাঁচের ছোট একটা ঘর বানাতে আদেশ দিল। সেই ঘরের  ভিতরে অনেক গাছ থাকবে, একটা ছোট পুকুরও থাকবে। সেই ঘরের কাজ চললো রাত আর দিন । ঘরের কাজ চলার সাথে সাথে চারদিকে খবর ছড়িয়ে গেল ,রাজা অসুস্থ! পাগল প্রায়! আর ব্যাঙ নিয়ে হরেক রকম খবরও চালু হল। কেউ বলল,’ব্যাঙটার মাথায় একটা জিনিষ আছে ,যাকে বলে,সাত রাজার ধন।‘ আবার কেউ বলল,’ডাইনি ওটা,রাজা কে যাদু করেছে!’ এভাবেই চলল।

 গল্পের ডালপালা এগিয়ে যেতে লাগল বাতাসের সাথে সাথে। এর মধ্যে রাজা মন্ত্রী কে রাজ্য ভার বুঝিয়ে দিল। সবাই চিৎকার করে বলে উঠল,’গেল গেল! সব গেল! আমাদের প্রান প্রিয় রাজা গেল।‘

একদিন ব্যাঙেকুমারীর সেই যাদুকর এলো রাজ দরবারে। মন্ত্রীকে বলল রাজার সাথে দেখা করবে।

মন্ত্রী জানাল ,’তা সম্ভব না।‘  

যাদুকর সেই কথা অনেক হাসলো। তারপর অচেনা পাখি হয়ে রাজ প্রাসাদে ঢুকে পরলো। মন্ত্রী প্রত্যেক সৈন্যকে আদেশ দিল, দুষ্ট যাদুকর কে ধরার জন্য। কিন্তু  কোথায় সেই পাখি! যেন এটা বাতাসে মিলিয়ে গেছে! প্রাসাদের ভিতরে বাহিরে সবখানেই সৈন্যরা খুঁজতে লাগল পাখিটাকে।

এদিকে রাজা আর ব্যাঙকুমারী প্রাসাদে! রাজার কঠোর আদেশ প্রাসাদে ঘন্টা না বাজা পর্যন্ত এখানে কেউ যেন না আসে। মন্ত্রী, প্রত্যেক রাজকর্মচারী আর সৈন্য চিন্তিত হয়ে হন্য হয়ে পাখিটাকে খুঁজতে লাগল। মন্ত্রী আদেশ দিলো রাজার ঘর ছাড়া প্রাসাদের কোন জায়গা যেন বাদ না যায়।     

রাজা জানালা দিয়ে আকাশ দেখছিল। হঠাত ঘরের ভিতর একটা শব্দে সে ফিরে তাকালো। একটা বিশাল বড় পাখী উড়ে এসে রাজার কাছকাছি চলে এলো। পাখিটা উড়ে এলো জানালার উল্টো দিক থেকে। যেন সে অদৃশ্য থেকে এসেছে। হঠাত করেই। কিভাবে পাখিটা ঢুকল তা নিয়ে রাজা বেশী একটা চিন্তিত হল না। সে  জানে, এটি পাখি না, যাদুকর। রাজা অপেক্ষাই করছিল যাদুকরের।

ব্যাঙকুমারী চিৎকার করে বলল,’রাজা এটা পাখি না ,এটা যাদুকর’ ! বিশাল পাখিটার দিকে দেখে রাজা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। সে দৌড়ে তার তরবারিটা বের করল। জাদুকর পাখি থেকে মানুষ হল।

রাজা দেখল , বিশাল এক মানুষ ! রাজা শান্ত গলায় বলল ,’তুমি সেই!’

যাদুকর বলল ,’আমার হাতে ব্যাঙটা তুলে দাও। এটা আমার ব্যাঙ।‘

রাজা হেসে বলল ,’তোমার?’

জাদুকর বিরক্ত গলায় বলল, ‘এই রাজকুমারী আমার দেশের। এর উপর আমার অধিকার।‘

রাজা গম্ভীর গলায় বলল,’তুমি ফিরে যাও।‘  

যাদুকর বলল,’তুমি বোকা। তুমি কি দেখনি, কিভাবে আমি তোমাকে দেখা দিয়েছি, একটা পাখি হয়ে। এর পরও কি তুমি কি আমার শক্তির ব্যাপারে উঁচু ধারনা করবে না।

রাজা হাসল। তারপর হাসতে হাসতে বলল,’ কাউকে দুর্বল ভাবা রাজার কাজ নয়।‘

যাদুকর বলল,’রাজা তো তবে বুদ্ধিমান আর আমার দুশ্চিন্তা করারও কিছু নেই।‘

রাজা এবার গম্ভীর হয়ে বলল,’ব্যাঙকুমার তোমার সাথে যেতে চাচ্ছে না। তাই তুমি একা ফিরে যাও।‘

যাদুকর কি যেন ভাবলো। এই অবসরে রাজা দু পা পিছিয়ে ব্যাঙকুমারীর কাছাকাছি আসলো।

ব্যাঙ বলল,’ জাদুকরের যাদু আমাদের উপর চলে। আপনাদেরও কেবল ভয় দেখাতে পারবে। এর বেশী কিছু না। সে আপনাদের যাদু করে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তবে সে একজন যোদ্ধা।‘

রাজা যাদুকরের বিশাল দেহটার দিকে তাকিয়ে চিন্তিত গলায় বলল, ‘যাদুকর কেমন যুদ্ধ করে?’

 ব্যাঙ বলল ,’ যুদ্ধে আপনার খুব কষ্ট হবে। তারচেয়ে ওর হাতে আমাকে দিয়ে দিন, আমার জন্য কেনই বা যুদ্ধ করবেন।‘

রাজা আবার দু পা এগিয়ে গেল।

যাদুকর বলল,’আমি আশা করছিলাম কোন ঝামেলা হবে না। কারন তুমি রাজা, প্রজাদের মঙ্গল কামনাই তুমি কর। কিন্তু…।‘

রাজা শক্তভাবে তরবারিটা ধরে বলল,’ফিরে যাও।‘

রাজা যাদুকরের কথাপথনের সময়টা খবর হল যে, রাজা রাজার ঘরে শত্রু ঢুকেছে। যে যেভাবে পারে দৌড়ে ছুটে এলো। এটা কি করে সম্ভব হল যে, শত্রু এত এত সৈন্য এড়িয়ে রাজপ্রসাদে রাজার ঘরে ঢুকলো! সবাই এসে দেখল যাদুকর কে।  সবাই অবাক বিস্মিত হল! কে কি করবে ভেবে পেল না। কিংবা কি করা উচিৎ  ভেবে পেল না!

জাদুকর আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে দু হাত তুললো। অমনি আকাশ থেকে  বিশাল বিশাল ভয়ানক পাখি প্রাসাদে ঢুকে পরল। ব্যাঙকুমারী চীৎকার করে বলল,’ জাদু দিয়ে শুধু ভয় তৈরি করতে পারবে। রাজা জাদুকরের দিকে খেয়াল রাখুন। ও  আপনাকে ক্ষতি করার সুযোগ খুজছে !’

পাখিগুলো দেখে ভয়ে সৈন্যরা চিৎকার শুরু করল। অধিকাংশ ছুটে পালাল। রাজা চিৎকার করে বলল, আমার সৈন্যরা তোমরা ভয় পেও না। যাদুকরের কোন শক্তি তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।‘ 

কথা বলার সময় রাজার চোখ যাদুকরের দিকে থাকল। যাদুকর দুহাত নামিয়ে এবার সামনের দিকে বাড়াল, বাড়াতেই তার হাতে অদৃশ্য থেকে দুইটা তরবারি চলে এলো।

রাজার দুই ভ্রু উচু হল, হেসে আপন মনে বলল, ‘চমৎকার তো!’

সৈন্যরা যারা ছিল তারা গোল হয়ে দাড়িয়ে ,বিশাল বৃত্ত। রাজা আর জাদুকর যুদ্ধে মেতে উঠল। সেকি যুদ্ধ! দিন রাত যুদ্ধ চলল। যেন থামবে না, এমন ভাবে শব্দ হতে লাগল। যুদ্ধ দেখে সৈন্যরা কাঁদতে লাগলো। কারন তারা রাজাকে এত সময় নিয়ে যুদ্ধ করতে দেখেনি।

হঠাৎ করে যুদ্ধটা থামল, যেমনি ভাবে ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে । জাদুকরের হাত ফোঁসকে একটা তরবারি পরে গেল আর রাজার তরবারি ঢুকে গেল জাদুকরের বুকে। দুষ্ট যাদুকর মরে যেতেই ব্যাঙকুমারী মানুষ হয়ে গেল, রাজকুমারী। অপরূপ সুন্দরী! রাজা আর উপস্থিত অন্য সবাই মুগ্ধ আর বিস্ময়ের সাথে দেখতে লাগলো রাজকুমারীকে!

কেউ কেউ গালে হাত দিল বিস্ময়ে আর আনন্দে। অনেকে বলতে লাগল, এ যে ডানা কাটা এক পরী! গালে হাত দিয়ে অনেকেই ভাবতে লাগল এত সুন্দর রাজকুমারী! এত সুন্দর মানুষ হয়! এই রাজকুমারীকে যাদুকর কি করে ব্যাঙ বনিয়ে রেখেছিলো!  

You may also like

Leave a Comment